বর্ধমান: দামোদরে জল বাড়তেই ধস নামলো সড়ক পথে। পূর্ব বর্ধমানের পলেমপুর-জামালপুর সড়ক পথে জাকতা এলাকায় সড়ক পথে ধস নামায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। দামোদরের বাঁধের উপর এই রাস্তা ভেঙে গেলে নদের জল ঢুকে এলাকার তিন চারটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত ধস মেরামতির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
পলেমপুর থেকে জামালপুরের কালাড়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা। এই সড়ক পথের অনেকটা অংশ গিয়েছে দামোদরের বাঁধের উপর দিয়ে। যাত্রী পরিবহনের জন্য এই রাস্তা দিয়েই মিনিবাস ও ট্রেকার চলে। এছাড়া সারা বছরই বালি বোঝাই প্রচুর লরি ও ডাম্পার এই সড়ক পথে চলাচল করে। ভারী যানবাহন যাতায়াতের কারণে দামোদর লাগোয়া হিজলনা এলাকায় রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং মাইথন-পাঞ্চেত ও দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় দামোদরের জলস্তর বেড়েছে। তার জেরেই শনিবার দামোদর লাগোয়া হিজলনা অঞ্চলের জাকতা এলাকায় সড়পথের একাংশে নেমেছে বড়সড় ধস। ওই ধস পৌঁছেচে ভরা দামোদরের প্রায় কাছ পর্যন্ত। আর তা দেখেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
এলাকার বাসিন্দা তথা গাড়িচালক বাবু দাস বলেন, ‘আমি পলেমপুর-হিজলনা রুটে ট্রেকার চালাই। এই সড়ক পথের একটা বড় অংশ অনেক দিন ধরেই বেহাল। এখন বর্ষার সময় দামোদরের জল বাড়তেই হিজলনার জাকতা এলাকায় সড়ক পথের একাংশে বড় ধস নেমেছে। গত বছরও একই জায়গায় ধস নেমেছিল। সেবার মেরামতি ভালো ভাবে না হওয়ায় ফের একই জায়গায় এই বর্ষাতেও ধস নামলো। দ্রুত ধস মেরামতি না হলে জাকতায় সড়কপথের সবটাই ধসের কবলে চলে যাবে।’ আরএক বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘জাকতায় রাস্তার দুই প্রান্ত ধসের কবলে পড়ে গেলে দমোদরের জল ঢুকে জাকতার পাশাপাশি স্থানীয় বাঁদগাছা, হোরপুর, নতুনগ্রাম জলে ডুবে যাবে। তাই ধস মেরামতিতে প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এটাই আমাদের দাবি।’ তবে বৃষ্টি কমে গেলে দামোদরের জলস্তর নামতে শুরু করলে তেমন বিপদ হবে না বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা।
রায়না ১ বিডিও লোকনাথ সরকার বলেন, ‘রাস্তার একাংশে ধস নেমেছে বলে খবর পেয়েছি। স্থানীর পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ধস মেরামতির ব্যাপারে কথা বলেছি। আর পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি।’
দামোদরে জল বাড়তেই রায়নার হিজলনায় বড়সড় ধস বাঁধের রাস্তায়
