onlooker desk: একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বিতর্কিত চ্যাটের স্ক্রিনশট ঘিরে ধুন্ধুমার বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। পুরুলিয়া জেলা বিজেপির তাবড় নেতাদের নামে ছড়িয়ে পড়া ওই চ্যাটে দেখা গিয়েছে, ইয়াসের সুযোগে করোনা ছড়িয়ে রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। পুরুলিয়ার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো থেকে জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, দুই বিধায়ক নরহরি মাহাতো এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়দের নাম জড়িয়েছে বিতর্কে।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, চ্যাটের স্ক্রিনশটটি ভুয়ো। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দপ্তরে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্তকে অভিযোগপত্র দেয় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। জেলা তৃণমূলও পুলিশ সুপারের কাছে এই ঘটনার পাল্টা তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
বুধবার রাতে আপাত ভাবে ‘বিজেপি কোর মেম্বার্স’ নামে একটি গ্রুপের চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। ইয়াসের জন্য তৈরি ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রচুর লোক ঢুকিয়ে করোনা ছড়িয়ে রাজ্য সরকারকে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে বলে সেখানে দেখা গিয়েছে। এই চ্যাটেই পুরুলিয়া বিজেপির তাবড় নেতাদের নাম জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। তবে স্ক্রিনশটের সত্যতা theonlooker24x7 যাচাই করেনি।
ভাইরাল হয়ে পড়া স্ক্রিনশট ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শোরগোল পড়ে যায়। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো, জেলা সম্পাদক আব্দুল আলিম আনসারিরা গিয়ে অভিযোগপত্র দেন পুলিশ সুপারের কাছে। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে এঁদের নাম জড়িয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের দাবি, বিজেপি পুরুলিয়ায় ভালো ফল করেছে। ভবিষ্যতে আরও সমর্থন পাবে তারা। সে কারণেই চক্রান্ত করে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের অবশ্য দাবি, স্ক্রিনশটটি সত্য। একে রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরাও।
ইয়াসের সুযোগে করোনা ছড়ানোর ‘ফন্দি’ বিজেপির? ভাইরাল চ্যাটের স্ক্রিনশট
