বর্ধমান: বিয়েবাড়ি থেকে বিধবা আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানা এলাকার একটি গ্রামে। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে এক জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম উত্তম বাউড়ি। উত্তম একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা মহিলা বাকি অভিযুক্তদের নাম পুলিশকে জানাতে পারেননি। তবে পুলিশ বাকিদের সন্ধান পেতে তল্লাশি শুরু করেছে।
নির্যাতিতার বড় মেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁর মা পাশের পাড়ার একটি বিয়ে বাড়িতে যান। রাত আনুমানিক ২টো নাগাদ এলাকাই বাসিন্দা উত্তম বাউড়ি তাঁর মাকে জোরপূর্বক বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একটি মোবাইল টাওয়ারের কাছে নিয়ে যায়। তিনি উত্তমকে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে উত্তম ও তার সঙ্গীরা ব্যাপক মারধর করে। এমনকী মেরে দাঁত ভেঙে দেয়। শরীরে থাকা গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয়। এর পর উত্তম ও তার সঙ্গে থাকা চার জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পৈশাচিক এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নির্যাতিতা ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন বলে তাঁর মেয়ে পুলিশি অভিযোগে জানিয়েছেন।
নির্যাতিতার বড় মেয়ে আরও দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মাকে কুপ্রস্তাব দিত পেশায় ট্র্যাক্টরচালক উত্তম। লোকলজ্জার ভয়ে তাঁর মা ওইসব নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি। তারই সুযোগ নিয়ে বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উত্তম ও তার সঙ্গীরা ধর্ষণ করে। এদিন ভোরে জ্ঞান ফিরলে তাঁর মা সেখান থেকে উঠে রাস্তার ধারে আসেন। মায়ের মুখ থেকে ঘটনা শুনে প্রতিবেশী ও এলাকার নেতারা পুলিশে খবর দেন। এরপর গলসি থানার পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে দ্রুততার সঙ্গে উত্তম বাউড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতিতা বাকি অভিযুক্তদের নাম বলতে পারছেন না। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী বিধবাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার এক
