প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল সহায়ক মূল্যে ধান কেনারপ্রস্তুতি। সেই মতো সেন্ট্রাল প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার খোলার জন্য রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের উপ–সচিব চিঠিদিলেন প্রতিটি জেলার খাদ্য নিয়ামককে। চিঠি পাওয়ার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩০টি সিপিসি চালুকরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে, এখন সে দিকেই তাকিয়ে জেলারচাষিরা।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৩৫০টি সিপিসি রয়েছে। চলতি বছরে যে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনারলক্ষ্যমাত্রা ছিল তার মধ্যে ৪০ লক্ষ টন ধান কেনা হয়ে গিয়েছে। চলতি মরসুমে রাজ্যে ১২ লক্ষ হেক্টরজমিতে বোরো ধান চাষ হয়। উৎপাদন হয় প্রায় ৬৬ লক্ষ টন ধান। তবে বোরো মরসুমে ধান কেনারলক্ষ্যমাত্রা এখনও ঠিক হয়নি। তার আগে চালু করা হচ্ছে সিপিসিগুলি। চাষিরা ধান নিয়ে এলেকরোনা–বিধি মেনে ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
রাজ্যের অন্যতম উপ–অধিকর্তা আবির বালি বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের পরেও যে সব চাষি আমন মরসুমেধান বিক্রি করতে পারেননি, সেই সব চাষিকে এখন ধান বিক্রিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।জেলাশাসকের উপস্থিতিতে খাদ্যের বৈঠকে তা অনুমোদন করার কথা বলা হয়েছে।’ অন্যদিকে রাজ্যেরকৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘যে সব জায়গায় সরকারি ব্যবস্থা ছাড়া ধান কেনার অন্য ব্যবস্থানেই, সেখানেই এখন ধান কেনা চলবে।’