প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: সাড়ে ১১ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে ছিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতার দেহ। শেষপর্যন্ত যখন শববাহী গাড়ি আসে, তখন ৫,০০০ টাকা চাওয়া হয় দেহ তোলার জন্য। পূর্বস্থলীরবেলগড়িয়ার পরিবারটির সামর্থ্য ছিল না অত টাকা দেওয়ার। শেষে মৃতার স্বামী ও ছেলে পিপিই কিটপরেই দেহ তুললেন গাড়িতে। অমানবিক এই ঘটনার কথা জানার পর পূর্বস্থলী ১–এর বিডিওর কাছেরিপোর্ট চেয়েছেন জেলাশাসক।
বেলগড়িয়া গ্রামের ওই বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীহাসপাতালে। সেখানে করোনা পরীক্ষা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালে বেড না পেয়েপরিবারের লোকজন ওই মহিলাকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন। সোমবার রাত তিনটেনাগাদ মারা যান ওই মহিলা। তারপর সাড়ে ১১ ঘণ্টা তাঁর দেহ বাড়িতে পড়ে থাকলেও প্রশাসনের তরফেকোনও হেলদোল দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ।
অবশেষে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পৌঁছয় কালনা পুরসভার শববাহী গাড়ি।
কিন্তু তারপরেও ভোগান্তির অবসান হয়নি। শববাহী গাড়ির চালক মৃতার দেহ প্যাক করে তোলার জন্যপাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারটির সদস্যদের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব ছিলনা। মৃতার ছেলে রবিন পাল জানান, বাধ্য হয়েই তিনি ও তাঁর বাবা পিপিই কিট পরে দেহ গাড়িতে তুলেদেন।
এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী ১–এর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ নৌমান শেখ বলেন, ‘কোভিড প্রোটোকল মেনেইমৃতার দেহ গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।’ যদিও টাকা চাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। ব্লকপ্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার কথা জানতে পেরে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিডিওর কাছে সবিস্তাররিপোর্ট তলব করেছেন।