Onlooker desk: বাড়িতে বসে মাইনে নিতে চান না। বরং করোনা পরিস্থিতিতে অন্য কোনও কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের এক শিক্ষক।
করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছর লকডাউনের সময়েই বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি স্কুল-কলেজে অনলাইনে ক্লাস হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। সম্প্রতি স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের তা বন্ধ। তবে সময়মতো বেতন পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা কম হয়নি। শিক্ষকদের বেতন কেটে নেওয়া বা তাঁদের অন্যত্র কাজে লাগানোর দাবি উঠেছে বারে বারেই।
নানা সমালোচনার মাঝে মানবিকতার পরিচয় দিলেন কাটোয়ার পশ্চিম চক্রের শিক্ষক কৌশিক দে। কাটোয়ার মহকুমাশাসককে একটি চিঠি দিয়ে তিনি লিখেছেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ। শুধু মিড-ডে মিল দিতে স্কুলে যাওয়া ছাড়া বাকি সময় বাড়িতেই কাটান তিনি। তাই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের সচেতনমূলক কাজে ও আক্রান্তদের সহয়তায় নিজেকে নিযুক্ত করতে চান। পরে কৌশিক জানান, সরকার তো তাঁকে বেতন দিচ্ছে। তাই বাড়িতে বসে না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। মহকুমাশাসকের কাছে সেই আবেদনই জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছেন।
কাটোয়ার চুড়পুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক কৌশিক এমনিতেই নানা ধরনের সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তাই সরকারি ভাবে কাজ করলে অনেক বড় পরিসরে কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী মহামারীর সময় অন্যদেরও তিনি সামিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। কৌশিকের এমন উদ্যোগের কথা জানতে পেরে প্রশংসা করেছেন কাটোয়ার বাসিন্দারা।