আসানসোল: বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও অসুস্থ মেয়েকে ভর্তি করতে পারেননি বাবা। শেষমেশ আনন্দলোক নামে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বছর সাতেকের সাক্ষী কুমারী সাহানি নামে ওই বালিকা। এই ঘটনার জেরে শনিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রানিগঞ্জে। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অন্ডালের জামবাদ এলাকার বাসিন্দা মন্টু সাহানির মেনে সাক্ষী। পেটের গন্ডগোলে হঠাৎ করে চরম অসুস্থ হয়ে ওঠে সাক্ষী। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে যান মন্টু। অভিযোগ, সেখানে ভর্তি না নেওয়ায় অন্য হাসপাতালে যান তিনি। এ ভাবে পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরেও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি। শেষমেশ আনন্দলোক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক ভর্তি করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সাক্ষীর মৃত্যু হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘চিকিৎসক জানিয়েছেন সময়মতো ভর্তি করা গেলে মেয়েটাকে বাঁচানো যেত। কিন্তু ওই নার্সিংহোমগুলি অমানবিকতার পরিচয় দিল। বহু অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ ভর্তি নিল না। আমাদের বলা হল, কোরানা পরিস্থিতিতে ডাক্তার নেই, যন্ত্রপাতি নেই।’
এদিকে সাক্ষীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার লোক জন ওই পাঁচটি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকেল ৪টে থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবী মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।