বর্ধমান: লকডাউনে কালোবাজারির জন্য ঘরে প্রচুর মদ মজুত করেছিল কয়েক জন। ক্রেতারা ফোন করে টাকা পেমেন্ট করলেই বিক্রেতা স্কুটিতে চেপে মদের হোম ডেলিভারি দিয়ে আসতেন। এমনকী ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থাও রেখেছিলেন ওই মদ কারবারীরা। এ ভাবে চড়া দামে চলছিল বিলেতি মদ বিক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার মেমারি থানার পুলিশ মেমারি শহর এলাকার দু’টি বাড়ি ও একটি হোটেলে অভিযান চালায়। তিন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ৪৭৭ বোতল বিলেতি মদ। অবৈধ ভাবে মদ মজুত করে কালোবাজারির অভিযোগে পুলিশ চার জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মদের বোতলের পাশাপাশি একটি স্কুটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আরও মদ উদ্ধার ও এই চক্রে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তোষ দত্ত, অভিজিৎ দে, স্নেহাদ্রি বাঙাল ও বিমল মণ্ডল। সন্তোষ ও অভিজিৎ মেমারি শহরের বাসিন্দা। আর স্নেহাদ্রির বাড়ি মেমারি শহর সংলগ্ন আঝাপুরে। বিমল হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা। মেমারির নুদিপুরে তাঁর একটি হোটেল রয়েছে। দু’টি বাড়িতে আলমারির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মদের বোতল। এছাড়আ ওই হোটেলের বিভিন্ন জায়গায় মদ মজুত করা হয়েছিল।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় চড়া দামে বিক্রি করার জন্য মদ মজুত করেছিলো কারবারীরা। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে মদ হোম ডেলিভারি করা হচ্ছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চড়া দামে মদের হোম ডেলিভারি, খবর পেয়ে ৪৭৭ বোতল উদ্ধার পুলিশের

থানার সামনে রাখা হয়েছে উদ্ধার করে আনা মদের বোতল