কলকাতা: গত বছর মে মাসে তাণ্ডব চালিয়েছিল আমফান। গত ক’দিন ধরে কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তউকতি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ফের একটি ঘূর্ণিঝড়েরপূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিতেপারে। আগামী রবিবার, ২৩ মে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘যশ’ নামে এই ঘূর্ণিঝড়টির।তারপরে বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে সে।
গত মঙ্গলবার প্রবল ঝড়–বৃষ্টি–বজ্রপাতে বেশ ক’জন মারা গিয়েছিলেন। তারপরে ক্রমশ বেড়েছে গরম।প্রবল রোদ্দুরের সঙ্গে ঘাম, দু’য়ে মিলে অস্বস্তি চরমে। কার্যত লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন নাবেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু বাড়িতেও শান্তি নেই। গত পাঁচ দিনে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেড়েছে তাপমাত্রা। ৪০–এরআশপাশে ঘোরাফেরা করছে তা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য কিছুটা স্বস্তির পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু সেটাখুবই সাময়িক।
তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও আমফানের স্মৃতি উস্কে ক্ষয়ক্ষতি, মৃত্যুরআশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া কোভিডের এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের কোথায় আশ্রয় দেওয়া হবে, সেটাও বড় ভাবনা। এর তীব্রতা আমফানের থেকেও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ বার দেশে বর্ষা প্রবেশ করবে কিছুটা আগে, আগামী ১ জুন। বাংলায় তা৮ তারিখে ঢুকতে পারে।