বর্ধমান: যাত্রী সেজে গাড়ি ভাড়া করেছিল এক মহিলা। কিন্তু গাড়িতে উঠে কিছু রাস্তা যাওয়ার পর চালককে থামতে বলেন তিনি। সেখানেই বেরিয়ে আসে যাত্রীর আসল চেহারা। চালককে মারধর করে হাইজ্যাক করা হয় গাড়ি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম নুর হাসমত মির্জা ওরফে ভুটান, রানা মেটে এবং মীর আমির আলি ওরফে জুয়েল আলি। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দু’জনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঝিলুগ্রামে। অপর ধৃত আমীর আলি বীরভূম জেলার নানুর থানার মুরুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলকোট থানার পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করলেও গাড়িটিকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ এদিনই ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। হাইজ্যাক হওয়া গাড়ি উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরার জন্যে পুলিশ তিন জনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের ৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটির চালক শেখ সাজুর বাড়ি বর্ধমান থানার দুবরাজদিঘি এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তিনি তাঁর চার চাকা গাড়িটি দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রীর জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময়ে এক যুবতী চালকের কাছে আসেন। মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়ে যুবতী তাঁর গাড়িটি ভাড়া করেন। তার পর তিনি যুবতীকে নিয়ে পালিশগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। পথে ঝিলু মোড়ে একটি মদের দোকানের কাছাকাছি পৌঁছতেই ওই যুবতী চালককে গাড়ি দাঁড় করানোর কথা বলেন। চালক শেখ সাজুর অভিযোগ, ওই জায়গায় অপেক্ষা করছিল যুবতীর পরিচিত দুই যুবক। তিনি যুবতীর কথা মতো গাড়ি দাঁড় করাতেই গাড়ির কাছে চলে আসে দুই যুবক। এর পর তিন জন মিলে শেখ সাজুকে মারধর করে গাড়ি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে হঠাৎ এমন ঘটনায় হকচকিয়ে যান চালক। এর পর তিনি স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে দু’দিন ধরে গাড়ির খোঁজ চালান। কিন্তু কোথাও গাড়ির সন্ধান না পেয়ে শেষমেশ গত শনিবার মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দিন গভীর রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তিন ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে হাইজ্যাক হওয়া গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।