কলকাতা: ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি সব খুইয়ে কাঁকড়া ধরতে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় গিয়েছিলেন বছর ত্রিশের ভগবতী মণ্ডল। সেখানে বাঘের কবলে পড়ে মৃত্যু হলো তাঁর। পেটের দায়ে খাদ্যের সন্ধানে গিয়ে এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বসিরহাট রেঞ্জের ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গলে। ভগবতীর স্বামী ও আরও একজন ছিলেন সঙ্গে। অল্পের জন্য রক্ষা পান তাঁরা।
সে দিন গোসাবার সাতজেলিয়া চরঘেরি থেকে ঝিলার জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন ভগবতী। কাঁকড়ার সন্ধানে খালের ভিতরের দিকে ঢুকে যান তাঁরা। আচমকাই একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মুখে পড়ে যান তাঁরা। কোনওমতে আড়ালে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন ভগবতীর স্বামী ও অন্য ব্যক্তি।
কিন্তু ভগবতী পালাতে পারেননি। বাঘের কবলে পড়ে যান তিনি। তরুণীর একেবারে ঘাড়ে কামড় বসায় বাঘটি। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর। বাঘের মুখ থেকে ছাড়িয়ে কোনও রকমে দেহটি নিয়ে যান ভগবতীর স্বামী ও অন্য সঙ্গী। গ্রামে শেষকৃত্য হয় তাঁর।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, গভীর জঙ্গলে শিকারে যাওয়ার জন্য ওই মৎস্যজীবী দলটির বৈধ কাগজ ছিল না। কিন্তু পেট
তো কাগজপত্র বোঝে না! ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তাঁদের সব কেড়েছে। বাড়িঘর ভেসে গিয়েছে। বিকল্প আয়ের পথ নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন তাঁরা।
ওই এলাকায় খাঁড়ির দিকে গভীর জঙ্গলে বাঘের আস্তানা। জলে প্রচুর কাঁকড়া। ওই এলাকায় মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে অনেকেই কাঁকড়ার সন্ধানে সেখানে ঢুকে পড়েন।
ইয়াসে বাড়িঘর খুইয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের শিকার তরুণী বধূ
