বর্ধমান: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং তা ছিন্ন হওয়ার পর থেকে ব্ল্যাকমেল। ক্রমাগত সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা। এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম আদর শেখ ও সাজেলা বিবি। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কাপশোর গ্রামে। ব্যবসায়ী শেখ মকবুল ইসলামকে (২৭) আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ভাতার থানার পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১০ জুন ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী শেখ মকবুল ইসলামের বাড়ি ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও বছর চারেকের একটি সন্তান। ভাতার বাজারে হকার্স মার্কেটের পাশে রয়েছে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি সকালে নিজের দোকানের মধ্যেই সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরেই ব্যবসায়ীর পরিবার সাজেলা বিবি ও তাঁর স্বামী আদর শেখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তাঁরা জানান, ওই দম্পতি মকবুল ইসলামের দোকানের পাশেই একটি টেলারিংয়ের দোকান চালাতেন। পাশাপাশি দোকান হওয়ার সুবাদে সাজেলা বিবির সঙ্গে মকবুলের ঘনিষ্টতা বাড়ে। এনিয়ে প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি হত। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সাজেলাক সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মকবুল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এর পর থেকেই ওই দম্পতি মকবুলকে নানা ভাবে ‘ব্লাকমেল’ করতে শুরু করে। লাগাতার ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে মকবুল শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পরেই দম্পতি গা ঢাকা দেন। শুক্রবার রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন বলে খবর পেতেই পুলিশ গিয়ে গ্রেপ্তার করে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে ব্ল্যাকমেল, ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় ধৃত দম্পতি
