বর্ধমান: একই দিনে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে প্রবল বজ্রপাতে মৃত্যু হল চার জনের। জখম হয়েছেন আরও একজন। মৃতরা হলেন রঞ্জিত গোয়ালা (৪০), অরূপ বাগ (৪০), শম্ভুচরণ দাস (৫২) ও অধীর মালিক (৪৯)। জখম ব্যক্তির নাম মনু আইরি। জামালপুর থানার গুড়েঘর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত। অরূপের বাড়ি কাঁশরা গ্রামে। শম্ভুচরণের বাড়ি জ্যোৎশ্রীরাম গ্রামে এবং মুহুন্দর গ্রামের বাসিন্দা অধীর। মনু আইরি সম্পর্কে রঞ্জিত গোয়ালার শ্যালক। তাঁর বাড়ি কালনা মহকুমার তিলডাঙা গ্রামে। জখম ব্যক্তি জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ও জখমরা সকলেই কৃষিজীবী পরিবারের সদস্য। রঞ্জিতের ছেলে অভিজিৎ গোয়ালা জানিয়েছেন, তাঁর মামা মনু আইরি তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এদিন দুপুরে বাবার সঙ্গে মামাও মাঠে জমি পরিচর্যা করতে যান। তখন প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে তাঁরা দু’জনেই জখম হয়ে জমিতে লুটিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরা তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এক জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, অরূপের দাদা রুদ্রকান্ত বাগ জানিয়েছেন, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী কাঁশরা গ্রামে জমিতে তিলগাছ কাটতে গিয়েছিলেন। জমিতে কাজ করার সময়ে ববজ্রপাতে ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী। জ্যোৎশ্রীরামের বাসিন্দা অচিন্ত দাস বলেন, এদিন তাঁর কাকা শম্ভুচরণ গ্রামের মাঠে পটল জমি পরিচর্যা করছিলেন। সেই সময় বজ্রপাতে তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুহিন্দর গ্রামের অধীর তাঁর পোষ্য গরু নিয়ে মাঠ থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় বজ্রপাতে মারা যান।
জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, ‘এদিন দুপুরের পর থেকে ঘণ্টা খানেক ধরে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে অস্বাভাবিক বজ্রপাত হয়। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন জখম হয়েছেন। মৃত ও জখমরা সকলেই দরিদ্র পরিবারের। তাঁদের পরিবার যাতে দ্রুত সরকারি সহায়তা পায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
প্রবল বজ্রপাতে জামালপুরে মৃত্যু চার জনের, জখম ১
